পশ্চিমবঙ্গের গর্বিত বিজ্ঞানীদের বৃত্তান্ত
Profile of proud scientists of West Bengal
ভূমিকা: পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ একটি উদ্ভাবনশীল এলাকা, যেখানে বৃদ্ধিমূলক বিজ্ঞানীগণ নিজেদের প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলার উন্নতির সাথে সম্প্রদায়িক উন্নতির স্থান গড়ে তোলেছে। তাদের প্রয়াসে আমরা এই ব্লগে জানবো।
নাম, জন্ম, মৃত্যু, জন্মস্থান, আবিষ্কার, মন্তব্য:
- সত্যেন্দ্রনাথ বসু (1861-1946):
- জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৬১
- মৃত্যু: ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬
- জন্মস্থান: কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
- আবিষ্কার: বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান, বসু-আইনস্টাইন ঘনীভবন, মহল ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রস্তাবনা, একটি মিশ্রণ বাণিজ্যিক আবিষ্কার।
- মন্তব্য:
“ যাঁরা বলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হয় না, তারা হয় বাংলা জানেন না, নয় বিজ্ঞান বোঝেন না। ” “যে ব্যক্তি একটি আবিষ্কার করতে সক্ষম, সে একটি নতুন মার্গ পাবে, নতুন দিকে যাবে।“
- প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (1861-1944):
- জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬১
- মৃত্যু: ২৭ নভেম্বর, ১৯৪৪
- জন্মস্থান: মানসা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
- আবিষ্কার: তিনি বেঙ্গল কেমিক্যালসের প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্কারি (I) নাইট্রেটের আবিষ্কারক। দেশি শিল্পায়ন উদ্যোক্তাও ছিলেন ।ইন্ট্রা–মাস রশ্মির ব্যাখ্যান, বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত গবেষণা।
- মন্তব্য: “আমি মানবজীবনে একটি পথিক। এই পথে শেখা যায় বেশ কিছু, কিন্তু আমি মৃত্যুর পরে যা করতে পারি সেটি আমি করতে চাই।“
- মেঘনাদ সাহা (1893-1956):
- জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৩
- মৃত্যু: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬
- জন্মস্থান: ঢাকা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
- আবিষ্কার: আধুনিক সময়ে তার দ্বারা অবদ্ধ হোস্টেস সংলগ্ন বৃহত্তর মসুক দিয়ে রেডিও অবগতি করা হয়।
- মন্তব্য: “বিজ্ঞান মানবজীবনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ আবশ্যিক যন্ত্র।“
- উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী (1873-1946):
- জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৭৩
- মৃত্যু: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬
- জন্মস্থান: বরানগর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
- আবিষ্কার: তিনি কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেন।সুবর্ণপুর আধুনিক শিক্ষাতত্ত্বের প্রযুক্তি, শিক্ষাবিদ্যায় কৃষি ও উদ্যোগবাদের সংমিলন অনুষ্ঠান আদি।
- মন্তব্য: “শিক্ষা মানব সমাজে উন্নতি এনে তাকে একটি উচ্চ মানসিকতা দেয়।“
- জগদীশ চন্দ্র বসু (1897-1974):
- জন্ম: ৩০ জুন, ১৮৯৭
- মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর, ১৯৭৪
- জন্মস্থান: কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
- আবিষ্কার: ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান৷ ১৮৮৭ সালে বিজ্ঞানী হের্ৎস প্রত্যক্ষভাবে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন৷ রশিকারের আবিষ্কার, প্রযুক্তির গবেষণা।
- মন্তব্য: “আমি সব সময় প্রয়াস করি যাতে আমি শিক্ষা ও বিজ্ঞানে অধিক পুরস্কৃত হতে পারি, কারণ এটি আমার প্রিয় চিন্তা এবং জীবনের একটি মহত্বপূর্ণ অংশ।“
বিজ্ঞানে তাদের অবদান ও পুরস্কার:
প্রাথমিক বিজ্ঞানীদের তালিকা:
Sl. No. | নাম | জন্ম তারিখ | মৃত্যু তারিখ | আবিষ্কার | পুরষ্কার | মন্তব্য |
---|---|---|---|---|---|---|
2 | প্রসন্ন চন্দ্র রায় | ২ অক্টোবর, ১৮৯৫ | ২ জুলাই, ১৯৭৯ | রামন ইফেক্টের অধ্যাদেশক, গ্যামা রে স্পেকট্রামের অধ্যয়ন | ভারতরত্ন, বিজ্ঞান রত্ন, ভারতীয় বিজ্ঞান কর্তৃক সর্বাধিক গৌরব। | ভারতীয় বিজ্ঞানের পিতা, বঙ্গ বিদ্যাসাগর প্রধান পদাধিকারী। |
3 | জগদীশ চন্দ্র বস | ৩০ জুন, ১৯০৮ | ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ | রেডিও ফিজিক্স, বিশ্ব জ্যোতির্বিদ্যা মহাসভা | নোবেল পরিবর্তন গবেষণা পুরস্কার, ১৯৬৮ | ব্যক্তিগতভাবে অত্যধিক সহানুভূতি এবং মহান বিজ্ঞানী। |
এই গুণিন বিজ্ঞানীদের অবদান অত্যন্ত মৌলিক এবং শ্রেষ্ঠ। তাদের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির মানচিত্র নতুন দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
উপসংহার: পশ্চিমবঙ্গের এই বৃদ্ধিমূলক বিজ্ঞানীদের মহান অবদান আমাদের জানা এবং গুরুত্ব বোধ করায় আসে, যে মাধ্যমে তাদের কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের অবদানে আমরা পশ্চিমবঙ্গের গর্ব অনুভব করতে পারি, এবং আগামীতেও এই উদাহরণ অনুসরণ করতে পারি।
♠আপনারা আরও জানার জন্য mystate.co.in ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।
Discover more from My State
Subscribe to get the latest posts sent to your email.