HaemophiliaHaemophilia

হিমোফিলিয়া দিবস

(World Haemophilia Day)


হিমোফিলিয়া একটি গুরুতর রক্তের ব্যাধি। যার স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতির হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নিয়মিত পরীক্ষা এবং চিকিৎসা ওষুধ সতর্কতা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব হিমোফিলিয়া চলুন জেনে নেই হিমোফিলিয়া সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

হিমোফিলিয়া কী?

ফেডার অফ হিমোফিলিয়া (WHF) অনুসারে হিমোফিলিয়া একটি বিরল এবং গুরুতর রোগ। যার তাই চিকিৎসা এখনো পাওয়া যায়নি। এই রোগটি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশি দেখা যায়। ভারতে প্রতি 10,000 জন্মে একজন (পুরুষ ও মহিলা) হিমোফিলিয়া আক্রান্তে ভুগছেন।

হিমোফিলিয়া এমন একটি রোগ যেখানে অস্ত্র পাচার বা অন্যান্য কোন কারণে আক্রান্তের শরীর থেকে প্রবাহিত রক্ত দ্রুত বন্ধ হয় না। সেই সঙ্গে এই সমস্যার তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণীয় সমস্যা শুরু হয় এই ধরনের ব্যক্তির সময়মতো চিকিৎসা না হলে তার জীবনের ঝুঁকি মারতে পারে। রক্তের এই বেজিতে রক্ত জমাট বাধার জিনের গোল যুগের কারণে রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়া কমে যায় বা জমাট বাধার প্রক্রিয়া খুব ধীর হয়ে যায়। আসলে রক্ত জমাট বেঁধে শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অঙ্গ রক্ত চলাচল বন্ধ করে এবং রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করে।

হিমোফিলিয়ার কারণ ও উপসর্গ: 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পিতা মাতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বংশগতি বা ত্রুটিপূর্ণ জিনকে হিমোফিলিয়ার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। অর্থাৎ মুকুলিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রোগের জন্মের পর জেনেটিক ব্যাধির কারণ হতে পারে। এই অবস্থা গুলিকে স্পোরাডিক হিমোফিলিয়া বলে।

আসলে কখনো কখনো জন্মের পরে, আইটোইমিউন, ডিসঅর্ডার, ক্যান্সার, মাল্টিপল ক্লোরোসিস, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও কখনো কখনো গর্ভ অবস্থায় প্রোটিন তৈরিকারী জিনটির সমস্যা হতে শুরু করে। যা এই রোগের কারণ হতে পারে। যাইহোক এই ধরনের ঘটনা খুব কম সংখ্যক দেখা যায়। পরিসংখ্যান অনুসারে মোট আক্রান্তের মাত্র ৩০% তারা যাদের মধ্যে হিমোফিলিয়ার জিনগত কারণে হয় না।

যদিও কারণগুলির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের হিমোফিলিয়া বিবেচনা করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে হিমোফিলিয়ার টাইপ এ এবং হিমোফিলিয়ার টাইপ বি এর ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এর লক্ষণ গুলি সম্পর্কে কথা বলতে গেলে হিমোফিলিয়া ফেডারেশন দ্বারা বর্ণিত হিমোফিলিয়ার কিছু বিশেষ লক্ষণ নিম্নরূপ।

দুর্ঘটনা বা আঘাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষত থেকে অবিরাম রক্তপাত। ঘন ঘন নাক থেকে রক্তপাত যা বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাড়ি থেকে রক্তপাত এবং দাঁত ও অপসারণ বা ভাঙ্গার পরে কোন ধরনের অস্ত্র পাচারের পরে রক্তপাত বন্ধ করতে দেরি বা অক্ষমতা। টিকাবাই ইনজেকশনের পরে রক্তপাত পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণের কারণে বমি, মল বা প্রস্তাবে রক্ত। বেশি বার জয়েন্ট গুলিতে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিকভাবে রক্তপাত বেশি বা জয়েন্ট গুলিতে বাহ্যিকভাবে রক্তপাত

হিমোফিলিয়া চিকিৎসা:

এটি এটি লক্ষ্যনীয় যে হিমোফিলিয়া একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যার তাই চিকিৎসা এখনও সম্ভব নয়। তবে ওষুধ এবং কিছু আছে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচিত শৃঙ্খলার সঙ্গে তার ওষুধ ও থেরাপি অনুসরণ করা। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বা থেরাপি বন্ধ না করা উচিত। সর্বদা নিজের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখতে হবে, কোন অসুবিধা হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা পাশাপাশি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ।

•যে কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন কি ধরনের ওষুধ তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সে সম্পর্কে সর্বদা তথ্য রাখুন।

•আপনার পরিচয় পত্র সবসময় আপনার কাছে রাখুন।

•হেপাটাইটিস এ এবং বি এর বিরুদ্ধে টিকা নেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন।

•কোন ধরনের সংক্রমণ বা রোগ, বিশেষ করে রক্ত সংক্রান্ত সংক্রমণ  এড়াতে সর্তকতা অবলম্বন করুন।

 

 

 

 

 


Discover more from My State

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Skip to content